জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্র সরকার তিনটি বড় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গভীর আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। হামলার পরদিন থেকেই ভারত পাকিস্তানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সর্বশেষ সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি, ডাক পরিষেবা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। “আতঙ্কবাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না,” এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

পাহলগাম হামলার পর শনিবার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়, যখন ভারত পাকিস্তান থেকে আমদানি, ডাক ও পার্সেল পরিষেবা এবং ভারতীয় বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। শিপিং মহাপরিচালক (ডিজিএস) শনিবার জানিয়েছেন, “ভারতীয় সম্পদ ও শিপিং স্বার্থ রক্ষার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি।” এছাড়া, ভারত পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো পণ্যের আমদানি বা ট্রানজিট বন্ধ করেছে, যা পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। ডাক পরিষেবাও সম্পূর্ণ স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে পাকিস্তান থেকে কোনো চিঠি বা পার্সেল ভারতে প্রবেশ করবে না।

গত ১০ দিনে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, ভারতীয় আকাশসীমায় পাকিস্তানি বিমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ, দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা ও ভ্রমণ অনুমতি বাতিল এবং সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ায় ভারত এখন পাকিস্তানকে নদীর জলের তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য নয়, যাকে পাকিস্তান “যুদ্ধের কাজ” হিসেবে অভিহিত করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপগুলি পাকিস্তানের অর্থনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, যতক্ষণ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে, ততক্ষণ কোনো সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।